“বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত দেড় দশকে রাজনীতির, আরও ভালো করে বলতে গেলে অপরাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছিলো। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মূলতঃ রাজনীতি করার দিকেই বেশি মনোযোগী বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠে এসেছে”
আদনান হোসেন: কোন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমিক স্তরের উপরের স্তরে অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রদান করা হয় এবং ঐসব শিক্ষাক্রম সমাপ্ত করলে বিশেষ উপাধি বা সনদ প্রদান করা হয়, তাকে উচ্চশিক্ষা বলে। যেসব প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষা প্রদান করা হয়, তাদেরকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলিকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
সিংহভাগ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের জন্য কমপক্ষে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা সমাপ্ত করতে হয়। সাধারণত শিক্ষার্থীরা ১৮ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রবেশ এগুলির পাঠ্যক্রম শেষ করলে সনদ প্রদান করা হতে পারে। এছাড়া এগুলির পাঠ্যক্রম শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সুবিধা থাকতে পারে।
মধ্যযুগে ইউরোপে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থার উৎপত্তি হয়েছিল , যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আধুনিক সময়ে বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষার প্রকৃতি মূলত ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রেট ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রভাবশালী দেশগুলিতে প্রতিষ্ঠিত মডেল দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে ।
ফ্রান্সে একটি পরীক্ষা শেষে স্নাতকে ভর্তি করা হয়। ফ্রান্সে উচ্চ শিক্ষা বিনামূল্যে এবং এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত। একটি পাসিং মার্ক ছাত্রদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক প্রথম বর্ষে ভর্তি করে, যা অন্য, আরও কঠোর পরীক্ষায় সমাপ্ত হয়। এই পরীক্ষায় সাফল্যের ফলে ছাত্ররা ফ্রান্সে লাইসেন্স নামে পরিচিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন না করা পর্যন্ত আরও তিন বা চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যোগদান করে।
জার্মানিতে আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে থেকে নির্বাচিত রেক্টরদের নির্দেশে তাদের পাঠ্যক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন রয়েছে৷ জার্মানির শিক্ষার্থীরা তাদের আগ্রহ এবং প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষায়িত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন করে। প্রকৃতপক্ষে, ছাত্রদের স্নাতক অধ্যয়নের সময় দুই, তিন বা এমনকি চারটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া একটি রীতি এবং একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ অধ্যাপক চার বা পাঁচটি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে পারেন।
ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভর্তি প্রক্রিয়া বরং জটিল। একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে এবং সেগুলিতে ‘পাসিং’ নম্বর পাওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার একটি সাধারণ প্রশংসাপত্র নিশ্চিত করতে হবে। গ্রেট ব্রিটেনের উচ্চ শিক্ষার মডেল কানাডা , অস্ট্রেলিয়া , ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা , নিউজিল্যান্ড এবং আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরের অন্যান্য প্রাক্তন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক অঞ্চলকে প্রভাবিত করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে , উচ্চ শিক্ষা হল মাধ্যমিক শিক্ষার পর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার একটি ঐচ্ছিক পর্যায় । এটিকে মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষা, তৃতীয়-স্তর, তৃতীয়-স্তর, বা তৃতীয় শিক্ষা হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত ৩৯৩১টি ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে প্রদান করা হয় । এগুলো হতে পারে পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় , গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় , লিবারেল আর্ট কলেজ , কমিউনিটি কলেজ , অথবা লাভজনক কলেজ । মার্কিন উচ্চ শিক্ষা সরকার এবং বেশ কয়েকটি তৃতীয় পক্ষের সংস্থা দ্বারা শিথিলভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
২০ শতকের গোড়ার দিকে মাধ্যমিক পরবর্তী (কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়) উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বিরল ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের দশক থেকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকে ‘উত্তরণের একটি আচার’ হিসাবে ভাবা হয় যার সাথে আমেরিকান স্বপ্ন গভীরভাবে জড়িত।
তা সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা এবং ভোক্তাদের কাছে এর মূল্য নিয়ে ক্রমবর্ধমান সংশয় রয়েছে। কম জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের (যেমন, কমিউনিটি কলেজগুলো) তুলনায় সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের (যেমন, আইভি লিগ স্কুল) আর্থিক ব্যয়ের অসঙ্গতির জন্য মার্কিন উচ্চশিক্ষার সমালোচনাও রয়েছে ।
“গবেষণার সুবিধা শুধু শিক্ষকদের জন্য নয়, শিক্ষার্থীদের জন্যও রয়েছে। গবেষণায় নিয়োজিত ছাত্রদের উচ্চতর সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকে।”
তবে যে কোন মডেলের উচ্চশিক্ষার বেলাতেই একটি কথা সত্য, তা হলো গবেষণা ছাড়া কার্যকর উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় না। গবেষণা শিক্ষাদানের উপর প্রভাব ফেলে যা দায়িত্বশীল এবং স্বায়ত্তশাসিত পেশাদার গবেষক ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে সাহায্য করে এবং ক্রমাগত তাদের দক্ষতা বিকাশের ক্ষমতা অর্জন করতে সাহায্য করে। গবেষণার সুবিধা শুধু শিক্ষকদের জন্য নয়, শিক্ষার্থীদের জন্যও রয়েছে। গবেষণায় নিয়োজিত ছাত্রদের উচ্চতর সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকে।
এছাড়াও, গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতার পাশাপাশি স্বীকৃতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা শেষ পর্যন্ত এটিকে ছাত্র এবং শিক্ষক উভয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষ প্রতিভা আকর্ষণ করতে সক্ষম করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান, শেখার এবং গবেষণার গুণমান এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন এবং তুলনা করার উপায় খোঁজার দিকে উন্নতবিশ্বে এখন ফোকাস করা হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে, উচ্চশিক্ষার কার্যক্রম এবং ফলাফলের মূল্যায়নের কৌশলে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে যখন এটি বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক গবেষণার ক্ষেত্রে আসে। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং পদ্ধতি যা সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছ, গবেষণাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের অন্যতম মূল নিয়ামক হিসেবে দেখে। বিশ্ব যত বেশি আন্তঃসংযুক্ত হবে, গবেষণার গুণমান এবং কর্মক্ষমতার আরও বেশি বৈশ্বিক মূল্যায়ন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিক্ষার বাইরে বহুমুখী ভূমিকা পালন করে। বৈশ্বিক সমাজে এর গভীর ইতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য গবেষণা বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ এবং তহবিল ব্যবস্থার সাথে অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার মাধ্যমে গবেষণার বিকাশ এবং উন্নতি অব্যাহত রাখা যেতে পারে ।
এক্ষেত্রে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা নিতান্তই করুন। উচ্চশিক্ষায় ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল বাজেটে ১৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব বাজেট পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং গবেষণা খাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সবচেয়ে বেশি ১৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। বিশাল বাজেটের মাত্র একটি ভগ্নাংশ! অন্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা সহজেই অনুমেয়। ২০২৩ সালে দেশের গবেষণা খাতে জিডিপির তুলনায় বাংলাদেশ ব্যয় করছে মাত্র দশমিক ৩০ শতাংশ।
টেকসই ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে নতুবা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও অনুদান না থাকার কারণে আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা হতাশাজনকভাবে বিদেশে চলে যাচ্ছেন।
আমরা যদি উন্নত দেশগুলোর দিকে লক্ষ্য করি, তাহলে দেখতে পাই তারা গবেষণায় সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের তুলনায় উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক দেশই শিক্ষা ও গবেষণায় যথেষ্ট এগিয়েছে। এর কারণ মূলত সেসব দেশে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে দেওয়া হয় নানা রকম প্রনোদনা। উন্নত দেশগুলোয় গবেষণা করার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কার সম্ভব হচ্ছে, যা তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করে নেতৃস্থানীয় জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় এশিয়ার দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষার পরিস্থিতি জাতীয়ভাবে অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত দেড় দশকে রাজনীতির, আরও ভালো করে বলতে গেলে অপরাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছিলো। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মূলতঃ রাজনীতি করার দিকেই বেশি মনোযোগী বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠে এসেছে।
“২০০৩ সালে বসওয়ার্থ ও কলিনস একটি সমীক্ষায় বিশ্বের ৮৪টি দেশের শিক্ষার মান তদন্ত করে দেখিয়েছিলেন যে, ভারত ও শ্রীলঙ্কার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ২০ দশমিক ৮, পাকিস্তানের ছিল ১১ দশমিক ৩ এবং যেখানে বাংলাদেশের স্কোর ছিল মাত্র ২ দশমিক ৮।”
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত দেড় দশকে রাজনীতির, আরও ভালো করে বলতে গেলে অপরাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছিলো। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মূলতঃ রাজনীতি করার দিকেই বেশি মনোযোগী বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠে এসেছে।
অন্যদিকে, সরকারি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, যারা বিসিএস সাধারন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা, তাদের বেলায় দেখা যায় যে গবেষণা মূলতঃ তাদের পদোন্নতি এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা প্রাপ্তিতে খুব সামান্য অবদান রাখে।আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন অনেক বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাকে চিনি যারা গবেষণা বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি শেষ করার পর পূর্বের চেয়ে বাজে পোস্টিং পেয়েছে। এতে গবেষকরা হতোদ্যম হয়ে যাচ্ছে।
গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো নতুন জ্ঞান আবিষ্কার করা। এটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে করা হয়। গবেষণা আমাদের চারপাশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান পাওয়া যায়। গবেষণা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নতুন প্রযুক্তি, নতুন পণ্য এবং নতুন পরিষেবা উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। গবেষণা শিক্ষকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে সাহায্য করে। গবেষণার মাধ্যমে সামাজিক সমস্যাগুলির কারণগুলি বোঝা যায় এবং এর ফলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। গবেষণা একটি দেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বৃদ্ধি করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সহযোগিতা করে গবেষণা করা হয় এবং এর ফলে একটি দেশের খ্যাতি বৃদ্ধি পায়।
উচ্চশিক্ষায় গবেষণার হার বাড়ানোর জন্য সরকারকে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে গবেষণাকে উৎসাহিত করতে হবে।গবেষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যান্য দেশের সাথে গবেষণা সহযোগিতা বাড়াতে হবে। দেশে গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
উপসংহারে বলা যায়, উচ্চশিক্ষায় গবেষণা একটি জাতির উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গবেষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় উচ্চশিক্ষায় গবেষণাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।
সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি)
ঢাকা কলেজ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা।
( এটি লেখকের একান্ত নিজস্ব মতামত, এর দায়ভার লেখকের নিজের )