শরীয়তপুর সদর উপজেলা ডোমসার ইউনিয়নের লুৎফর রহমান (৬০) নামে এক ব্যক্তির মূল্যবান গাছ চুরি হয়েছে। এঘটনায় মামলা করায় বাদীকে মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মামলার বিবরণ ও ভুক্তভোগীসূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের সঙ্গে একই এলাকার বেলায়েত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় বেলায়েত বিভিন্ন সময় লুৎফরকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছেন। সম্প্রতি লুৎফরের বাগানের একটি মূল্যবান মেহগনি গাছ রাতের আধাঁরে কেটে নিয়ে যায় বেলায়েত সহ কয়েকজন। এ ঘটনায় লুৎফর বাদী হয়ে বেলায়েত সহ ৫ জনের নামে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। একদিকে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে নানান মাধ্যমে চাপ দিচ্ছেন বেলায়েত। সর্বশেষ মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন লুৎফর।
এ ব্যাপারে লুৎফর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ বেলায়েত হোসেন দলবল নিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানি ও ক্ষতিসাধন করছে। সর্বশেষ রাতের আধারে আমার ৭০ হাজার টাকা মূল্যের মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছে। আমি সো মিলে (গাছ থেকে কাঠ তৈরির যন্ত্র) গিয়ে ওই গাছ জব্দ করি।
এঘটনায় ন্যায় বিচারের জন্য আমি বাদী হয়ে বেলায়েত সহ ৫ জনের নামে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এই মামলা তুলে নিতে বেলায়েত আমাকে নানান মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী দুই নারী বলেন, রাতে শব্দ পেয়ে আমরা গাছের কাছে গেলে দেখি বেলায়েত হোসেন লোক নিয়ে গাছ কাটছে। আর আমাদের ঘরে চলে যেতে বলে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে কোনো জড়িত নয়।
এব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজওয়ানুল হাসান সানি বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলা আমলে নিয়ে ১ নম্বর আসামীর বিরুদ্ধে সমন দিয়েছেন। এদিকে, মামলা করায় বাদীকে আসামী হুমকি দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাদী।