ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
gonojog24
Bongosoft Ltd.

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিল করতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা


| গণযোগ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯ ১১:৩৯ এএম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিল করতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা
৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ প্রশাসন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

 

গণযোগ ডেস্ক: 

সকল ধরনের পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে সকাল ১০টা থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)  শিক্ষার্থীরা। এতে গত ৭ ঘণ্টা ধরে প্রশাসন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। কাউকে বিশেষ প্রয়োজনেও বের হতে বা প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

তাছাড়া খাবারও খেতে পারেননি আটকে থাকা ব্যক্তিরা। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোটার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সকল ধরনের পোষ্য কোটা বাতিল না হলে রবিবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ ঘোষণা দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।

 

কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়ে সালাউদ্দিন আম্মার জানান, 'গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানায়। আমরা গতকাল রাতেই এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছি। আমরা ঘোষণা দিয়েই প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়েছি। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোটা রাখার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা প্রথা একটা হাস্যকর বিষয়। অবিলম্বে পোষ্য কোটা বাতিল করে মেধাবীদের মুক্তি দিতে হবে। আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে পোষ্য কোটা বাতিল করা না হলে রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন করা হবে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোও ক্যাম্পাসের বাহিরে যেতে দেওয়া হবে না।'

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, 'আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা কমপ্লিট শাটডাউন করতেই পারে। তবে উদ্ভত পরিস্থিতি সামাল দিতে আলাপ আলোচনার বিকল্প নেই। বিষয়টি সমাধানে আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলবো। কারণ এ ধরনের কর্মসূচি পালিত হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে শিক্ষার্থীরা। আমরা চাই না আমাদের কোনো শিক্ষার্থীর ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হোক।''

Side banner

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Side banner
Link copied!