গণযোগ ডেস্ক:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর, দুই হলে স্টিল বেজড স্ট্রাকচার নির্মাণ ও আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ আবাসন ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের প্রথম দুটি দাবির প্রেক্ষিতে জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করতে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে আবাসন ভাতার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না আসায় ক্যাম্পাস শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এবার সে বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছে জবি প্রশাসন। আবাসন ভাতার বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটি এ বিষয়ে একটি প্রস্তবনা তৈরি করে সম্ভব হলে সংশোধিত বাজেটে অথবা ২০২৫-২৬ বজেটে অন্তর্ভুক্ত করে ইউজিসিতে জমা দেবেন এবং তা গ্রহণ করানোর প্রচেষ্টা চালানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এজেন্ডাভূক্ত শিক্ষার্থীদের মূল দাবি দুটি নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহ ও গুরুত্বের সাথে বিস্তারিত আলোচনা শেষে কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দ্বিতীয় এজেন্ডা আলোচনা শেষে জবি উপাচার্য আবাসিক ভাতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেন। তবে বিষয়টি এই সভায় আলোচনার সুযোগ নেই মর্মে অবহিত করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধানে বর্তমান জবি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই নিরলসভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং অচিরেই এক্ষেত্রে আরো সাফল্য আসবে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে শিক্ষার্থীরা সব ধরণের চলমান কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করছে জবি প্রশাসন।