বুধবার (২২ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষাবিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ’ (ইরাব) এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান জানান।
তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে আর্থিক লেনেদেনের বড় অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে। আগে শিক্ষাভবনে এমপিওভুক্তি দেয়া হলেও মাউশির নয়টি অঞ্চলে এখন তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা নিয়ে কোনো সংষ্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা এ মুহুর্তে সরকারের নেই। আগে শিক্ষাখাতে সব বিশৃংখলা দূর করে দুর্নীতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এরপর শিক্ষাখাতের বরেণ্যদের নিয়ে একটি ‘শিক্ষাখাতের উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতি একদিনে সমাধান করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতি মুক্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটি মন্ত্রণালয়ের সবাই শুনেছে। তবে, শিক্ষার অধিদপ্তরগুলোতে যাইনি। সেখানে গিয়ে প্রথমে সর্তক করা হবে। তারপর দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে একটি উদাহরণ তৈরি করা যেতে পারে।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষায় জোর দিলেও বাংলাদেশে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অনার্স-মাস্টার্স পড়িয়ে বেকার তৈরি করা হচ্ছে মন্তব্য করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী টেকনিক্যাল শিক্ষা গ্রহণ করে। আর আমাদের এখানে উল্টো। শিক্ষা পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা অনার্স-মাস্টার্স পড়ে বেকার হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলো তো আছেই, পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
সভায় ইরাবের সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমনসহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।