ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
gonojog24
Bongosoft Ltd.

জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক-ওয়ালটার স্টেইনমার শুক্রবার সংসদ ভেঙে দিয়েছেন: ২৩ ফেব্রুয়ারিতে নতুন নির্বাচন


গণযোগ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৬:০১ পিএম আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯ ১১:৩৯ এএম জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক-ওয়ালটার স্টেইনমার শুক্রবার সংসদ ভেঙে দিয়েছেন: ২৩ ফেব্রুয়ারিতে নতুন নির্বাচন

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের প্রশাসনিক জোটের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক-ওয়ালটার স্টেইনমার শুক্রবার সংসদ ভেঙে দিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারিতে নতুন নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন।

চলতি বছরের ৬ নভেম্বরে শোলজের জনপ্রিয়তাহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ হিসেবে কুখ্যাত তিন-দলীয় জোটের পতনের পর ১৬ ডিসেম্বরে আস্থা ভোটে হেরে যান তিনি এবং বর্তমানে একটি সংখ্যালঘিষ্ঠ সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শোলজ। উল্লেখ্য, জার্মানির অচল অর্থনীতিকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়ে বিতর্ককে ঘিরে শোলজ তার অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন ৬ নভেম্বরেই।

বেশ কয়েকটি প্রধান দলের নেতা তখন সম্মত হয়েছিলেন যে, সংসদীয় নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন করা উচিত; অর্থাৎ পূর্ব-পরিকল্পিত তারিখের সাত মাস আগে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বান্ডেসট্যাগ নিজেকে ভাঙতে পারে না কারণ জার্মানির সংবিধান সেই অনুমতি দেয়নি। সংসদ বানচাল করে নির্বাচন আহ্বান করা হবে কিনা তা নির্ভর করছিল স্টেইনমারের সিদ্ধান্তের উপর। এই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি ২১ দিন সময় পান। সংসদ একবার ভেঙ্গে দিলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতেই হবে।

বাস্তবে নির্বাচনী প্রচার ইতোমধ্যেই তুঙ্গে। একাধিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ফ্রেডারিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল বিরোধী ইউনিয়ন ব্লকের পিছনে রয়েছে শোলজের দল। পরিবেশবাদী গ্রিনসের ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক (শোলজ সরকারের অবশিষ্ট জোটসঙ্গী) ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছেন। যদিও তার দল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি নির্বাচন যদি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে অন্তত একটি দলের সমর্থন নিয়ে পরবর্তী জোট সরকারের চ্যান্সেলর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মার্জের।

এই নির্বাচনের প্রধান ইস্যুগুলির মধ্যে রয়েছে অভিবাসন, কীভাবে মন্থর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায় এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে কিয়েভকে কত বেশি পরিমাণে সাহায্য করা সম্ভব ইত্যাদি।

অভিবাসন-বিরোধী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি বা এএফডি, যারা জোরালোভাবে লড়ছে, তারা চ্যান্সেলর পদের জন্য অ্যালিস ওয়েইডেলকে মনোনীত করেছে, তবে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনও সুযোগ নেই কারণ অন্যান্য দলগুলি তাদের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করছে।

Side banner

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Side banner
Link copied!