ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
gonojog24
Bongosoft Ltd.

রুম হিটার ব্যবহারে সতর্কতা


| গণযোগ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০২:১৪ এএম আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯ ১১:৩৯ এএম রুম হিটার ব্যবহারে সতর্কতা
রুম হিটার। ছবি: সংগৃহীত

 

ডেস্ক নিউজ:

শীতের সময় এলে রুম হিটার একটি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক সরঞ্জাম হিসেবে বাসায় জায়গা করে নেয়।  তবে নিয়মিত রুম হিটার ব্যবহারে শরীরে শরীরে হতে পারে কঠিন রোগ। একারনে সতর্ক থেকে  ব্যবহার করুন রুম হিটার। 

হিটার থেকে নির্গত গরম বাতাস ঘরের আর্দ্রতা শুষে নেয়। এমনকি এই রুম হিটার আবহাওয়ায় উপস্থিত অক্সিজেনকে পুড়িয়ে দেয়। রুম হিটার ব্যবহারে যে নিয়মগুলো মেনে চলা ভালো-

 

রুমে হিটার চালালে ঘরের আর্দ্রতা কমে যায়, যা ত্বক ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। রুমে একটি পানিভর্তি পাত্র রেখে আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারেন। হিটার থেকে যে গরম বাতাস বের হয়, তা ত্বককে অত্যন্ত রুক্ষ ও শুষ্ক করে দেয়। হিটারের কারণে অনিদ্রা, মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কনভেনশান হিটার, হ্যালোজেন হিটার অত্যাধিক ব্যবহারে ব্যক্তিকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।

হিটার ব্যবহারের সময় জানালা বা দরজা আংশিক খোলা রাখুন, যাতে বাতাস চলাচল অব্যাহত থাকে এবং অক্সিজেনের ঘাটতি না হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকলে হিটার থেকে দূরে থাকুন। 

এছাড়া শ্বাসনালীর রোগীরাও এই যন্ত্রের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন। হিটারের বাতাস এসব রোগীর ফুসফুসে কফ জমাতে শুরু করে। এ কারণে হাঁচি-কাশি হতে পারে এবং ফুসফুসে জমে থাকা কফ শুকিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। 

 

হিটার এমন জায়গায় রাখুন যেখানে কাপড়, কাগজ বা অন্য দাহ্য বস্তু কাছাকাছি না থাকে। হিটার চালানোর আগে নিশ্চিত করুন যে বৈদ্যুতিক সংযোগটি ঠিক আছে এবং হিটারটি নির্ধারিত তাপমাত্রায় কাজ করছে কিনা।

 

রুম হিটার শিশু ও পোষা প্রাণীদের নাগালের বাইরে রাখুন, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। যে বাড়িতে গ্যাস হিটার বা এলপিজি হিটার বেশি ব্যবহার করা হয়, সেসব পরিবারের শিশুদের মধ্যে অ্যাজমার সমস্যা অধিক দেখা যায়। রুম হিটার থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়। যা ছোট শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপর কুপ্রভাব ফেলে। 

 

রুম হিটার দীর্ঘ সময় চালানো থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত সময় হিটার চালালে নানা সমস্যা হতে পারে। 


আপনার রুমে যদি গ্যাস-ভিত্তিক হিটার ব্যবহার করেন, তাহলে ঘরে কার্বন ডাইক্সাইড নির্দিষ্ট পরিমাপ স্থাপন করা উচিত। কাশি, মাথাব্যথা, বমি বা গা গোলানো, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি, অ্যাজমার রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। যদি হিটার ব্যবহার করা অতীব প্রয়োজন হয়, তাহলে কিছু সাবধানতা মেনে চলা ভালো। তাহলে আপনি বেশ আরামদায়ক ভাবে এই ইলেকট্রনিক টুলস টি ব্যবহার করতে পারেন।

 

 

Side banner
Side banner
Link copied!