২৮ ফেব্রুয়ারি আসন্ন রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর গণমাধ্যমে এক বিবৃতি প্রকাশ করেন। দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে আমীর ডা. শফিকুর রহমান বিবৃতিতে বলেন:
“পবিত্র মাহে রমাদান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আমাদের সামনে সমাগত। এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর নামে একটি বরকতময় মহিমান্বিত রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাস তাক্বওয়া, সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস।
জাতি এমন এক সময় পবিত্র মাহে রমদান পালন করতে যাচ্ছে যখন দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা জালিমের হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশের জনগণ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে। দেশের নাগরিকগণ ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক মানবাধিকার ফিরে পাবার প্রত্যাশায় আছে। অন্যদিকে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। শান্তি-স্বস্তির নতুন বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ইফতার সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি করার সুযোগ যেন না পায় সেদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অসৎ ব্যবসায়ীদের সকল সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিত বাজারব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। দরিদ্র লোকরা যেন পবিত্র মাহে রমাদানের সিয়াম অনায়াসে পালন করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল, ডাল, তেল, মাছ, গোশত, তরি-তরকারি, চিনি, খেজুর, ছোলা, মুড়ি ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
দিনের বেলা হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধসহ সকল অশ্লীলতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে দেশবাসীকে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের শিক্ষার আলোকে সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পবিত্র রমাদান মাসকে প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”