নতুন আইনের অনুমোদন না পেলে বিদ্যমান আইনের সংসদীয় আসন বিন্যাসেই জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সোমবার(৭ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দল নিবন্ধন, সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি। আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিতে দল নিবন্ধন ও আচরণবিধি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আইনের তোয়াক্কা না করে জাঁকজমকপূর্ণ নির্বাচনি প্রচারণা প্রায় স্বাভাবিক চিত্র। প্রার্থী ক্ষমতাবান হলে বারবার জরিমানা দিয়েও ভাঙেন আচরণবিধি। এবার দল ও প্রার্থীদের লাগাম টানতে পরিবর্তন আসছে জাতীয় নির্বাচনের আচরণবিধিতে।
সোমবার নির্বাচন ভবনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, ভোট কেন্দ্র স্থাপন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নির্বাচনি ব্যয় ন্যূনতম রাখা এবং প্রচারণায় সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিয়ন্ত্রণের বিধানও থাকছে খসড়ায়।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এখনও আমরা অনুমোদন পাইনি, পেলেই আমরা লিমিটেশনের কাজটা করব। আর যদি অনুমোদন না হয়, তাহলে বিদ্যমান যে আসন বিন্যাস রয়েছে তার ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।
মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘২০ এপ্রিলেই আমরা বুঝব যে আদৌ এটা বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন আছে কিনা। তবে যাদের প্রয়োজন নিবন্ধনের, আমরাও প্রস্তুত আছি যে নিবন্ধন দেবো। যারা নিবন্ধন নেবেন তারা যদি আবেদন করেন তাহলেই আমরা দিতে পারব। আবেদন না করলে তো দিতে পারব না।’
রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা ছাড়াই আচরণবিধি চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি জানান, পরিস্থিতি অনুযায়ী অংশীজনদের সাথে আলোচনা করা হবে।
গণযোগে/এমএইচ