২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান একথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর শেষ হচ্ছে, তাই আমরা ভারতের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি (চুক্তি নবায়নে)।’
ড. খলিলুর রহমান জানান, চুক্তি নবায়নের আলোচনা দ্রুত শুরুর লক্ষ্যে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ৩০ বছরের একটি চুক্তি, যার আওতায় জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কায় পানির ন্যূনতম প্রবাহ নিশ্চিত করতে দুই দেশের মধ্যে পানি বণ্টন করা হয়ে থাকে।
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষের জীবন ও জীবিকা তিস্তা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, নদীর পানির ন্যূনতম প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার।
খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা ১৪ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে সংকটে ফেলতে পারি না। এ জন্যই আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভারতকে বলছি— চুক্তিতে স্বাক্ষর করুন (তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি)।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
গণযোগ/এমএইচ