ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
gonojog24
Bongosoft Ltd.

রাজনৈতিক সালতামামি - ২০২৪


গণযোগ | বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০১:৫২ পিএম আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯ ১১:৩৯ এএম রাজনৈতিক সালতামামি - ২০২৪

 

‘২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন করে শুরু হয়, এই আন্দোলনে তৎকালীন শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার দমন নিপড়ন শুরু করলে এটি অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেয়’

 

 

২৯ ডিসেম্বর: বছরের শুরু হয়েছিলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তেজনা ঘিরে।  রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দলের  তুমুল বিরোধীতার পরেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের  অধীনে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষনা করে জানুয়ারীর ৭ তারিখে নির্বাচনের আয়োজন করে। বিএনপি-জামায়েত ইসলামীসহ প্রায় অধিকাংশ রাজনীতিক দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন দেশে বিদেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে থাকে।

 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ও তাদের ‘বিদ্রোহী’ পক্ষের অংশ গ্রহণ এবং প্রায় প্রতিটি আসনে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষ, রীতিমত রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে একটি ‘বিরোধী দল’ তৈরি করা হয়, যাদের কে দলীয় পদে থেকেও স্বতন্ত্র নির্বাচনে সুযোগ দেয়া হয়েছিলো।

বিএনপি সহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে এই নির্বাচন প্রাণচাঞ্চল্য হারায়। অপরদিকে বিএনপি’র দলছুট কয়েকজনের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ও ‘কিংস পার্টি’ গঠন করে আরেক সমালোচনার জন্ম দেয়।

আসন বন্টনে আওয়ামী লীগের শরিকদের ‘ঠকে যাওয়া’, বিশেষ করে শরিক দলের সিনিয়র নেতাদের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে হেরে যাওয়া পারস্পারিক সম্পর্কে একটি অস্বস্তি তৈরি করে। শমসের মবিন চৌধুরী ও এডভোকেট তৈমুর আলমের নেতৃত্বে তৈর ‘কিংস পার্টি’ রাজনৈতিক হিসাবে হেরে গিয়ে পর্দার আড়ালে চলে যায়। জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টি ছিলো আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনে অন্যতম জোট সঙ্গী, যারা  প্রত্যাশিত আসন না পেয়ে পরবর্তীতে সরকার বিরোধী বক্তব্য দিতে শুর করে। 

 

নির্বাচন কমিশনের হিসেবে ৪১.৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ‘বিতর্ক’ শুরু হয়। 

বিগত সরকারের ‘অনমনীয়তা ও একরোখা’ নীতির কাছে রাজনৈতিক সৌন্দর্য ম্লান হতে থাকে বলে বলে অনেকে মনে করেন। বিএনপি এই নির্বাচনকে বর্জন করে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ব্যতিরেকে তারা দলে ‘ভাঙ্গন’ ঠেকাতে পেরেছিলো । অপরদিকে, আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দী তৈরি করে যা দলের মধ্যে স্থায়ী বিভাজনে রুপ নেয়। অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন ‘দেখাতে’ ও ক্ষমতা ধওে রাখতে ক্ষমতাসীনদের এই চেষ্টা আপাতত কার্যত সফল ছিলো।  


নির্বাচনের পর ভারতীয় প্রভাব ছিলো বলে বিএনপি ‘ভারতীয় পন্য’ বর্জনের ডাক দেয়। প্রায় ষাটের অধিক রাজনৈতিক দল ও জোট বিএনপির সাথে ভারত বয়কটের প্রচারাভিযানে সমর্থন দেয়। 

জাতীয় নির্বাচনের কিছু সময় পর ৫০টি সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্যরা নির্বাচিত হোন। 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু, আগের বছরের অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।


ভোটের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা দেয় আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী ,তার আড়াই মাস পর কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। 
বিএনপির এই সরকারী বিরোধী আন্দোলনে থাকার গতিশীলতা জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গতি আনে। কোটার সংস্কারের দাবীতে মাঠে নামা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন , রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একাট্টা হয়ে গণ-আন্দোলনে রুপ নেয়। 

২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন করে শুরু হয়, এই আন্দোলনে তৎকালীন শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার দমন নিপড়ন শুরু করলে এটি অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেয়।

 

জুলাইয়ের প্রথম থেকে শুরু হওয়া বৈষম্য বিরাধী ছাত্র আন্দোলন টানা ৩৬ দিন ধরে চলা ছাত্র-জনতার  আন্দোলনে রুপ নেয়, যা ৪ আগষ্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ পালন করে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ক্ষমতাসীন দল ও সরকার ছাত্রদের এই আন্দোলন মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে দমননীতি প্রয়োগ করতে শুরু করে। ৩৬ দিনের এই গণ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ, ঢাকার মীর মুগ্ধ সহ প্রায় ২ হাজার মানুষ এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ হতাহত হোন বলে, এই সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি প্রতিবেদন পেশ করে।   
৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ছাত্র-জনতার চাপের মুখে ভারতে চলে যান। বিক্ষুদ্ধ জনগণের রোষানলে পড়ে সহিংসতায় বেশ কিছু থানা আক্রমন হয়। এতে কিছু পুলিশ সদস্যের প্রাণহানী ঘটে এবং ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগের অনুসারীদের ওপরও হামলা ও প্রানহানীর ঘটনাও ঘটে। 


৬ আগষ্ট সাবেক রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পান। 


শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ৮ আগষ্ট ১৬ জন উপদেষ্টা নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সরকারের দায়িত্ব নেযার পর থেকে উপদেষ্টাদের মন্ত্রনালয় বন্টন করা হয়। ৩ জন ছাত্র প্রতিনিধিকে উপদেষ্টা মন্ডলীতে অর্ন্তভূক্ত করা ছিলো বড় ধরনের চমক। পরবর্তীতে রাষ্ট্রের স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে গঠন করা এই উপদেষ্টামন্ডলী সম্প্রসারণ ঘটে যার সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৪ জন পর্যন্ত।

শেখ হাসিনার সরকারের শেষ সময়ে এসে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধি হওয়া বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী দলটি ৫ আগষ্টের পর প্রাদ-প্রদীপের আলোয় চলে আসে। গত ১৫ বছর ক্ষমতাসীন সরকারের দমন নীতির শিকার হওয়া বিএনপি জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকান্ড সচল হতে শুর করে। দলগুলোর রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। 
জি এম কাদের এর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ‘এক তরফা নীতি’র সাথে ‘সম্পৃক্ত ও সহযোগী’ থাকায় ক্রমাগত ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’র চাপের মুখে পড়তে থাকে। ২ নভেম্বর সমাবেশের ডাক দিলে, তার আগেই দলটির বিজয় নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। 


প্রবাল দ্বীপ স্টেমার্টিন ভ্রমনে সরকারের ‘সাময়িক নিষেধাজ্ঞা’ ভ্রমন পিপাসু সাধারন নাগরিকদের মধ্যে বেশ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। যদিও পরিবেশ মন্ত্রনাণয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টির একটি ব্যাখ্যা দেন।


প্রায় ৯ বছর পর ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আইনগত জটিলতার নিরসন ঘটে। অপরদিকে ক্ষমতাচ্যূত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।
প্রায় ২৭০টির অধিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে যা রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা সামালোচনার জন্ম দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা দাপ্তরিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়নি। 


শহীদ নূর হোসনে দিবস সহ বেশ কয়েকটি দিবসে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাঁধার মুখে পড়তে হয়, দলটির অনেকে ‘সহিংসতার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার হোন। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘হামলা’ ও হত্যাকান্ডে সহযোগীতার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারের নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন, ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হয় এবং পরর্তীতে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পাশাপাশি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (নবম, দশম, একাদশ) বৈধতা নিয়ে করা রিটটিও প্রত্যাহার করা হয়।


রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে মাঠে নামে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ আরো কিছু ছাত্র সংগঠন। তবে অন্তবর্তী সরকার ও বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এবিষয়ে ‘ইতিবাচক’ না থাকায় এবং সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে, এই কারনে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগের বিষয়টি ‘আড়ালে’ চলে যায়।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর থেকে ছাত্রদল বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কিছুটা কোনাঠাসা হয়ে পড়ে।

নতুন গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনীতির মঞ্চে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। 

আগষ্টের শুরু থেকে ভারত বিরোধী আন্দোলন এবং ভারতে ইলিশ মাছ পাঠানোকে কেন্দ্র করে সামাজিকত যোগাযোগ মাধ্যম নানা প্রতিক্রিয়ায় সরব হয়ে ওঠে। সরকারের পক্ষ থেকে ‘বৃহৎ প্রতিবেশী’ ভারতের সাথে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে মতামত প্রকাশ করা হয়। 
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃঞ্ষভাবনামৃত সংঘের (ইস্কন) কার্যক্রম ও এর প্রধান সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ঞ দাসকে গ্রেপ্তার নিয়ে সরব হয়ে ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গন। পরবর্তীতে তাকে জামিন দেন আদালত। 

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ কমিশন গঠন করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। কমিশনগুলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারকে সুপারিশমালা প্রদান করবে এবং পরবর্তীতে এসব সুপরিশমালা নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মতামত বিনিময় করবে।

প্রায় ৩ শত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট ভার্বাল’ পাঠিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।


বছরের নানা সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ডালপালা মেলতে থাকে। ফ্যাক্ট চেকার এর বস্তুনিষ্ঠতা নির্ণয় করেন।

ক্ষমতার রাজনীতিতে মাঠ ও মঞ্চ দখলে কিছুটা নিরব ‘প্রতিযোগিতা’ শুরু হয় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে। দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের  বিষয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে থাকেন মহাসচিব সহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

এ এম নাসিরুদ্দিন কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ৪ জন কমিশনার নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

বছরের শেষ সময়ে সচিবালয়ের কয়েকটি মন্ত্রনালয়ের ফ্লোরে আগুন লেগে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে যাওয়া এবং সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন রকম আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়।
 

Side banner

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর

Side banner
Link copied!