ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
gonojog24
Bongosoft Ltd.

বিচ্ছেদের পর নিঃসঙ্গ নারী!


গণযোগ | শিশির বিন্দু বিশ্বাস প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯ ১১:৩৯ এএম বিচ্ছেদের পর নিঃসঙ্গ নারী!

 

‘নারী’ এক অপার সৃষ্টি ও সৌন্দর্যের অদ্ভুত সমন্বয়। যে ধরায় নারী জন্ম দিল পুরুষের মাধ্যমে নব প্রজন্ম সেই ধরা আজ চমকিত হলো মানব জন্মের নিগূঢ় সত্তায়।জন্ম,মৃত্যু আর বিবাহ ব্যতিক্রমও এই মানব জন্ম যেন বৃথা।হাজার বছরের এই ইতিহাস আমাদের নারীর প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দিয়েছে বারংবার। নারীর হাতেই এক সময় ছিল পরিবারের চাবি, তা এখনো আছে তবে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে।বিবাহ বিচ্ছেদ এক সামাজিক অবক্ষয়ের নাম।দিনে দিনে এটি বেড়েই চলেছে।নারী পিছিয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক, পারিবারিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সেই কবে থেকেই আর সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ যেন আরও দূর্ভোগের অপর নাম। নারীর অধিকারের জায়গা হয়ে গেছে সীমিত। বাসে,ট্রেনে, রাস্তায়,দিনে রাতে নারীকে বিভিন্নভাবে বুলিং ,স্যাক্সুয়াল হ্যারেজমেন্টের স্বীকার হতে হচ্ছে।নারী নির্যাতন ও ধর্ষন বেড়ে গেছে। বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন।এতে নারীর স্বাধীনতা আসে এটি যদিও ভুল তবু বিবাহ সামাজিকতার একটি অংশ।অনেকে বিয়েকে নারীর নিরাপত্তার একটি অংশ ভাবে। নিতান্তপক্ষে এটি নারীর ব্যাক্তি স্বাধীনতার বিষয়। বিবাহ বিচ্ছেদ হলে নারীর সামাজিক,পারিবারিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
অনেক ডিভোর্সড নারী ডিপ্রেশনের কারনে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।ডেংটি সাইটগুলোতে ডিভোর্সড নারীদের সংখ্যা তাই অনেক।অনেক ডিভোর্সড নারীকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়ে থাকে।অনেক নারীকে একা বাসা ভাড়া দেয় না বাড়ির মালিক পক্ষ।এছাড়াও ডিভোর্সড নারী সন্তান থাকলে  ভরন পোষন নিয়ে সমস্যায় পরে। স্বামী চাকুরীজীবি স্ত্রীকে ডিভোর্স দেবার পরে আর ভরন পোষন দিতে চায় না।কর্মক্ষেত্রে ডিভোর্সড নারী অফিসের বস এবং সহকর্মী দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হয়।পরিবার তাদের শুধু পুনরায় বিয়ে করার জন্যে জোর করতে থাকে।অনেককে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়ে থাকে। একাকি ডিভোর্সী নারী তীব্র মানসিক অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে প্রায়শই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অনেকে  বেশ্যাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে অনেক শিক্ষিত নারী চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতি সাধন করে নিজের ভাগ্য গড়ছে। তবে মানসিক প্রশান্তি এক অন্য বাস্তবা।  এই অবস্থায় দেশের ও সমাজের কল্যানে নারীর অধিকার সুরক্ষায় ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারীর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সিডও সহ অভিন্ন পারিবারিক আইন ও অন্যান্য নারীর সুরক্ষায় তৈরি আইনের প্রনয়ণ ও ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। নারীর মানসিক সুস্বাস্থ্য আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশ।নতুন প্রজন্ম, নারীবান্ধব পরিবেশ ও সুন্দর পারিবারিক বন্ধন আমাদের এগিয়ে নিতে পারে সোনালী ভবিষ্যতে।

সাহিত্যিক

Side banner
Side banner
Link copied!